নওগাঁয় হামলা ও ভাঙচুরের অভিযোগ চেয়ারম্যানের অস্বীকার
নওগাঁর রাণীনগর উপজেলার পারইল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জাহিদুর রহমান জাহিদের বিরুদ্ধে বিদ্যালয়ে হামলা ও ভাঙচুরের ওঠা অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। রোববার(১৪ সেপ্টেম্বর ) দুপুরে নিজ কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এই দাবি করেন।
গত বৃহস্পতিবার (১১ সেপ্টেম্বর ) পারইল উচ্চ বিদ্যালয়ের নির্মিত ইটের দোকানঘর ও অন্যান্য স্থাপনা ইউপি চেয়ারম্যান জাহিদুর রহমান জাহিদের নেতৃত্বে হামলা ও ভাঙচুরের অভিযোগ ওঠে।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে ইউপি চেয়ারম্যান জাহিদুর রহমান জাহিদ দাবি করেন- পারইল উচ্চ বিদ্যালয়ের এ্যাডহক কমিটির সভাপতি শহিদুল ইসলাম ও ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক গোপাল চন্দ্র সাহার বিরুদ্ধে আইন বহির্ভূতভাবে বিদ্যালয়ের গ্যারেজের জায়গায় জনৈক এক ব্যক্তিকে দোকানঘর নির্মাণ করে দেওয়ার অভিযোগ ওঠে। উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে দোকানঘর নির্মাণ কাজ বন্ধ করে দেন । কিন্তু তারপরেও বৃহস্পতিবার আবার দোকানঘর নির্মাণ করার চেষ্টা করলে বিক্ষুদ্ধ ছাত্র-জনতা দোকানঘরের ইটের দেয়াল ভেঙে দেয়। তবে নামাজের ওয়াক্তখানা অক্ষত থাকে। সেখানে চাঁদা চাওয়ার কোন প্রশ্নই আসে না। উক্ত ঘটনার সাথে আমি বা আমার কোন লোক জন জড়িত নয়। বরং এনিয়ে বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে আমাকে জড়িয়ে বিভিন্ন মিডিয়ায় অসত্য সংবাদ প্রচার করা হয়েছে যা মিথ্যা, বানোয়াট ও ভিত্তিহীন বলে দাবি করে তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন।
চেয়ারম্যানের করা অভিযোগ সম্পর্কে জানতে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক গোপাল চন্দ্র সাহাকে একাধিকবার ফোন এবং ক্ষুদে বার্তা দিয়েও কোন সারা মিলেনি।
ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি শহিদুল ইসলাম বলেন, দোকানঘর ও নামাজের ওয়াক্তাখানা ভাংচুরের দিনে আমি উপস্থিত ছিলাম না। তবে লোক মারফতে শুনেছি চেয়ারম্যানের উপস্থিতিতে লোকজন ভেঙ্গে দিয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, মেহেদী হাসান, আসলাম হোসেন, এরশাদ হোসেন, আনারুল ইসলাম, তোফাজ্জল হোসেন প্রমূখ।